গরম পানি পান করলে কী হয়? গরম পানি খাওয়ার উপকারিত ক্ষতিকর দিক

গরম পানি পান করা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হিসেবে পরিচিত। আমরা অনেকেই জানি যে ঠান্ডা পানির তুলনায় গরম পানি শরীরের জন্য আরও অনেক উপকার বয়ে আনে তেমনি আবার গরম পানি খাওয়ার ক্ষতিকর দিক রয়েছে। কিন্তু গরম পানি পান করলে কী হয়, তার সঠিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এবং শরীরে এর প্রভাব সম্পর্কে অনেকেই তেমন জানেন না। এই আর্টিকেলে গরম পানি পানের বিভিন্ন উপকারিতা, তার পুষ্টিগুণ, এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতার উপর আলোকপাত করা হলো।

Table of Contents

গরম পানি পান করলে কী হয়?

আরও পড়ুন: আমের আঁটি দিয়ে কী করবেন? জেনে নিন উপকারিতা, ব্যবহার ও পুষ্টিগুন

১. হজমশক্তি বৃদ্ধি

গরম পানি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে, যা খাদ্যকে দ্রুত হজম করতে সহায়তা করে। বিশেষ করে, খাবার খাওয়ার পর যদি সামান্য গরম পানি পান করা হয়, তবে তা পেটের মসৃণ পেশীগুলিকে সক্রিয় করে। এতে গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি ও বদহজমের সমস্যা কমে। সকালে খালি পেটে গরম পানি পান করলে অন্ত্র পরিষ্কার হয় এবং হজম প্রক্রিয়া সক্রিয় হয়, যা সারাদিনের জন্য শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে প্রস্তুত করে।

২. কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণ

গরম পানি পানের আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপকারিতা হলো এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য শরীরের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। গরম পানি অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ সহজে বের করতে সহায়তা করে।

৩. শরীরের বিষাক্ত পদার্থ নির্গমন

প্রতিদিন আমাদের শরীরে বিভিন্ন খাবার ও পরিবেশ থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়। এই পদার্থগুলো শরীরের কোষগুলিতে ক্ষতি করতে পারে এবং নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। গরম পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা ঘামের মাধ্যমে শরীরের টক্সিন নির্গমন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। গরম পানি পান শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণ

গরম পানি পান করলে শরীরের বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি পায়, যা ক্যালরি বার্ন করতে সহায়তা করে। গরম পানি পানের ফলে পেট কিছু সময়ের জন্য পরিপূর্ণ থাকে, ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। এইভাবে, যারা ওজন কমাতে চান, তারা প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানি পান করে দেখতে পারেন।

৫. রক্ত সঞ্চালন উন্নতি

গরম পানি পান শরীরের রক্তনালী প্রশস্ত করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এটি হৃদপিণ্ড এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ফলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়। এছাড়া, গরম পানি পেশী এবং জয়েন্টগুলির ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: রক্তনালীকে শক্তিশালী করে ও সঞ্চালন বাড়ায় যে ৪টি খাবার

৬. নাক বন্ধ ও সাইনাসের উপশম

যারা সাইনাসের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য গরম পানি একটি প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করতে পারে। গরম পানির বাষ্প শ্বাসনালী পরিষ্কার করে, শ্লেষ্মা দুর্বল করে এবং নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। সাইনাস সমস্যা থাকলে গরম পানি পানে আরাম পাওয়া যায় এবং শ্বাসকষ্ট কমে যায়।

৭. মানসিক চাপ হ্রাস

গরম পানির আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপকারিতা হলো এটি মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। আমাদের শরীরের স্নায়ুতন্ত্র গরম পানির শিথিলকারক প্রভাবের মাধ্যমে আরামবোধ করে এবং এর ফলে মস্তিষ্কও শিথিল হয়। ফলে দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমে এবং মনে স্বস্তির অনুভূতি তৈরি হয়।

৮. ব্যথা উপশম

গরম পানি পেশী ও জয়েন্টের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। শরীরে গরম পানি প্রবাহিত হলে এটি শিথিলকরণের অনুভূতি প্রদান করে এবং পেশী ও জয়েন্টের ব্যথা কমে। এই জন্য বিশেষ করে ব্যায়ামের পর গরম পানি পান বা স্নান করা উপকারী হতে পারে।

৯. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি

শরীরের টক্সিন দূরীকরণের মাধ্যমে গরম পানি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে। ত্বক থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে গেলে ত্বক আরো স্বাস্থকর ও কোমল হয়। নিয়মিত গরম পানি পান করলে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে, ফলে ত্বকে রুক্ষতার প্রবণতা কমে।

আরও পড়ুন: সুস্বাস্থ্যের জন্য সেরা ১২টি হেলথ টিপস, যা আপনার জানা দরকার


গরম পানি খাওয়ার ক্ষতিকর দিক

গরম পানি পান অনেকের কাছে সুস্থতার প্রতীক। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে, শরীর পরিষ্কার রাখতে, এমনকি ওজন কমাতে সহায়ক বলে মনে করা হয়। তবে গরম পানির যত উপকারিতা রয়েছে, তেমনি গরম পানি খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে, যা সচেতনতার অভাবে অনেকেই জানেন না। আজকের এই লেখায় গরম পানি পানের কিছু সম্ভাব্য ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো।

১. শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে

গরম পানি বেশি পরিমাণে পান করলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। শরীরের নিজস্ব একটি স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখা প্রয়োজন, যা অধিক গরম পানি পানের ফলে অস্থির হতে পারে। এতে শরীরের মেটাবলিক রেট বাড়তে থাকে এবং অনেকের ক্ষেত্রেই এটি শরীরের বিভিন্ন কাজে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। নিয়মিত অতিরিক্ত গরম পানি পান শরীরের প্রাকৃতিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিঘ্ন ঘটায়, ফলে দীর্ঘমেয়াদে এটি শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

২. মুখ, গলা এবং খাদ্যনালীর টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে

অত্যধিক গরম পানি পান করলে এটি মুখ, গলা এবং খাদ্যনালীর টিস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। গরম পানির তাপ মুখের ভিতরের নরম টিস্যুকে পুড়িয়ে ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি পানি খুব বেশি গরম হয়। মুখের টিস্যুতে ক্ষত সৃষ্টি হলে তা দ্রুত ব্যথা ও প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। এটি ধীরে ধীরে গলার কোষগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে।

৩. কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে

গরম পানি পান কিডনির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কিডনি শরীরের অতিরিক্ত পানি ও টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। তবে, অতিরিক্ত গরম পানি পান কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত যারা কিডনি সমস্যা বা রোগে ভুগছেন তাদের জন্য। কিডনির প্রাকৃতিক কার্যক্রম বাধাপ্রাপ্ত হলে শরীর থেকে টক্সিন দূরীকরণের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয় না, ফলে কিডনির ওপর চাপ পড়ে এবং এতে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হতে পারে।

আরও পড়ুন: ত্বকের রঙ বদলে যাচ্ছে? সতর্ক হোন, এটি মারাত্মক রোগের লক্ষণ হতে পারে!

৪. রক্তচাপ কমিয়ে ফেলতে পারে

গরম পানি পান করলে রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয়, যা সাময়িকভাবে রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। যদিও এটি সাময়িকভাবে শিথিলতা এনে দিতে পারে, তবে এটি স্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ, রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়ার ফলে মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, এমনকি অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।

৫. স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রভাব

গরম পানি স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে। অনেক সময়, অত্যধিক গরম পানি পান করার ফলে স্নায়ু ক্রিয়াকলাপ ব্যাহত হয়। গরম পানির কারণে শরীরে অস্বস্তি এবং মাথার তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করে। দীর্ঘমেয়াদে এটি স্নায়ুতন্ত্রে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এবং স্নায়ু জনিত সমস্যাগুলি বাড়তে পারে।

৬. পেটের এসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা বাড়াতে পারে

গরম পানি পাকস্থলীতে অতিরিক্ত এসিড উৎপাদনে সহায়তা করে, যা অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা বাড়ায়। বিশেষ করে খালি পেটে গরম পানি পান করলে পাকস্থলীর প্রাচীর বেশি অ্যাসিড নির্গত করে। এই অতিরিক্ত অ্যাসিড পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যারা অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য অতিরিক্ত গরম পানি পান করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

৭. পেশী ও জয়েন্টে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে

গরম পানি পেশী ও জয়েন্টে শিথিলতা এনে দেয়, তবে অতিরিক্ত গরম পানি পান করলে পেশীর কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এটি পেশীকে অস্থির ও দুর্বল করতে পারে, ফলে সহজে ক্লান্তি আসে এবং দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে অসুবিধা হয়। যারা ব্যায়াম করেন বা শারীরিক কাজ বেশি করেন, তাদের জন্য অতিরিক্ত গরম পানি পেশী ও জয়েন্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৮. ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে

গরম পানি শরীরের বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে সক্রিয় রাখে, যা অনেক সময় ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ঘুমের আগে অতিরিক্ত গরম পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। বিশেষ করে রাতে বেশি গরম পানি পান শরীরের জন্য আরামদায়ক হয় না এবং এতে শরীর শান্ত থাকতে পারে না। ফলে অনেক সময় অনিদ্রা বা ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৯. পুষ্টির অভাব সৃষ্টি করতে পারে

অতিরিক্ত গরম পানি পান শরীরে মিনারেল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে। গরম পানি তৃষ্ণা কমিয়ে দেয় এবং এতে অনেক সময় শরীরে প্রয়োজনীয় তরল পান করা হয় না। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন পুষ্টির অভাব দেখা দেয়, যা স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এভাবে পানি গ্রহণের সঠিক পরিমাণ কমে যেতে পারে এবং শরীরে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।


গরম পানি পানে সতর্কতা

যদিও গরম পানি পান স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী, তবুও এটি পান করার সময় কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। অতিরিক্ত গরম পানি পান করার ফলে মুখ ও গলার টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বিশেষ করে পানি খুব বেশি গরম হলে। গরম পানির তাপমাত্রা এমন হওয়া উচিত, যা আরামদায়ক হয় এবং পান করতে অসুবিধা না হয়।

১. অতিরিক্ত গরম পানি পান করবেন না: অত্যন্ত গরম পানি পান করলে মুখ, গলা, এবং পেটের টিস্যুতে ক্ষতি হতে পারে। তাই পানির তাপমাত্রা আরামদায়ক হওয়া উচিত।

২. পেট খালি রেখে গরম পানি পান: খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানি পান করলে তা দ্রুত কাজ করতে শুরু করে। তবে, সকালে খালি পেটে বেশি গরম পানি পান করলে তা অ্যাসিডিটির সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে, তাই ধীরে ধীরে পান করা উচিত।

৩. হাইড্রেশন বজায় রাখতে সঠিক পরিমাণে পান করুন: সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এবং শরীরের পানির চাহিদা অনুযায়ী গরম ও সাধারণ পানি পান করার অভ্যাস বজায় রাখুন।

৪. সারাদিন বেশি গরম পানি পান করবেন না: দিনে এক বা দুইবার গরম পানি পান করুন এবং বাকি সময় সাধারণ পানি পান করুন। গরম পানি অনেক উপকারী হলেও শরীরের সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ গরম পানি পান করা উচিত।

৫. পানির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন: পানি এমন মাত্রায় গরম হওয়া উচিত, যা আরামদায়ক এবং পান করার জন্য সহনশীল।

৬. ঘুমের আগে গরম পানি পান এড়িয়ে চলুন: রাতে ঘুমের আগে ঠান্ডা বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করা উত্তম, যা শরীরকে আরামদায়ক রাখে এবং ঘুমের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

শেষ কথা

গরম পানি পান করার অনেক উপকারিতা আছে, এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য এক বিশেষ আশীর্বাদ হতে পারে। তবে, যথাযথ নিয়ম মেনে এটি পান করতে হবে এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী গরম পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে এবং প্রতিদিন এক বা দুইবার এর সুবিধা নেওয়া যেতে পারে। গরম পানি পান শরীরের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনতে পারে, তবে গরম পানি খাওয়ার ক্ষতিকর দিক রয়েছে। অতিরিক্ত গরম পানি পান করা কখনোই ভালো নয় এবং এর কিছু নেতিবাচক প্রভাব শরীরের ওপর দেখা যেতে পারে।

Juger Alo Google News   যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

2 thoughts on “গরম পানি পান করলে কী হয়? গরম পানি খাওয়ার উপকারিত ক্ষতিকর দিক”

Leave a Comment