বেশি হাসা, দ্রুত কথা বলা, অল্পতেই রেগে আগুন- এমন সব আচরণের কী মানে?

বেশি হাসা, দ্রুত কথা বলা, অল্পতেই রেগে আগুন—এমন সব আচরণের কী মানে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন আচার আচরণ ও তার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছেন। এই আচরণগুলোর মাধ্যমে মানুষের মানসিক অবস্থা বোঝা যায় এবং তার উপর ভিত্তি করে সঠিক সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হয়।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরও পড়ুন: এই ৪টি অভ্যাস মস্তিষ্কের জন্য খুবই খারাপ

যদি কেউ খুব অল্পতেই হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে, এমনকি খুব ছোট্ট বা বোকা বোকা বিষয়েও হাসে, তাহলে এমনও হতে পারে ওই মানুষটা ভেতরে-ভেতরে ভীষণ একা। একাকিত্ব আড়াল করতে মানুষ ‘লাউড’ আচরণ করে। এর একটা বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সে অল্পতেই হাসে।

অনেকেই দুঃখ পেলে বা বিষণ্ন থাকলে বেশি ঘুমায়। এটা একধরনের ‘ডিফেন্স মেকানিজম’। অনেকের আবার ডিপ্রেশনে ইটিং ডিজঅর্ডার দেখা যায়। তবে ঘুমানো তুলনামূলকভাবে ভালো সমাধান। কেননা, ঘুম শারীরিক অসুখের ক্ষেত্রে তো বটেই, সেই সঙ্গে আবেগীয়ভাবে আর মানসিকভাবে সারিয়ে তুলতেও খুবই সহায়ক।

কেউ যদি কম কথা বলে অথবা দ্রুত কথা বলে, তাহলে বুঝবেন সে সম্ভবত কোনোকিছু লুকাচ্ছে বা বলতে চাচ্ছে না।

‘কান্নায় শোক মন্দীভূত হয়’। কেউ যদি কাঁদতে না পারে, তাহলে সে মানসিকভাবে দুর্বল। নারী-পুরুষনির্বিশেষে কান্না আবেগীয় মুক্তি ও ভাব-রসাম্যের জন্য খুব জরুরি। যে কাঁদতে পারে না, তার সেই আবেগটা অযৌক্তিকভাবে প্রকাশ পায় বা বের হয়। দুঃখ পেয়ে সে কান্নার বদলে ভায়োলেন্ট আচরণ করতে পারে। এমনকি দুঃখ-কষ্ট দীর্ঘসময় মনের ভেতরে জমাট বেঁধে সেটা শারীরিক জটিলতার কারণও হতে পারে।

আরও পড়ুন : মানুষ কীভাবে ‘গাধা’ হয়? জেনে নিন লক্ষণগুলো

কেউ যদি চিন্তিত থাকে, তাহলে সেটা তার খাওয়ার সময় সেটা ধরা পড়ে যাবে। হয়তো সে আনমনে খাবে বা অল্প খেয়েই উঠে যাবে অথবা তাড়াহুড়ো করে খাবে। ‘খাওয়ার ম্যানার’-এ গড়বড় হবে। বা ‘ইটিং ডিজঅর্ডার’ দেখা দেবে।

কেউ যদি ছোট ছোট বিষয়ে কান্না করে, তাহলে বুঝবেন সে সরল, নির্মল, অহিংস আর কোমল হৃদয়ের অনুসারী।

কেউ যদি ছোট ছোট বিষয়ে হুটহাট রেগে হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন তার জীবনে ভালোবাসার অভাব। ভালোবাসা দিয়ে আর তার প্রতি মনোযোগী হয়ে আবেগীয়ভাবে আরও স্থিতিশীল করে তোলা সম্ভব।

এই সব আচার আচরণ ও তার প্রভাব সম্পর্কে জানা জরুরি যেন মানুষকে হুট করে জাজমেন্ট না করে গভীরভাবে বোঝা যায়। এই জ্ঞান সমাজে সবার মাঝে সম্প্রসারণ করে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো যেতে পারে।

Juger Alo Google News   যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

2 thoughts on “বেশি হাসা, দ্রুত কথা বলা, অল্পতেই রেগে আগুন- এমন সব আচরণের কী মানে?”

Leave a Comment