সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টের মাধ্যমে জানান, সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি কমানো হবে, এবং এ বিষয়ে দ্রুত আদেশ জারি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সোমবার, ১৭ নভেম্বর, তার দেওয়া এই ঘোষণায় চাকরিপ্রত্যাশীদের মাঝে আশার আলো জেগেছে, বিশেষত যারা দীর্ঘদিন ধরে এই ফি কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: যে উপায়ে চাকরির জন্য সিভি তৈরী করলে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবেন
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার পোস্টে বলেন, “চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এসেসমেন্ট শেষে জারি হবে সরকারি আদেশ।” তার এই ঘোষণার পরপরই এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দেশের তরুণ ও বেকার জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে রাখা হোক। বিশেষ করে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ফি অনেকের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবেদন ফি কমানোর সিদ্ধান্তকে অনেকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন এবং সরকারকে এ ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশংসা করছেন।
আরও পড়ুন: ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আসছে: শিক্ষক নিয়োগ এক লাখ
এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও চাকরির আবেদন ফি কমানোর ব্যাপারে সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। এর আগে এক স্ট্যাটাসে তিনি আবেদন ফিকে বেকার যুবকদের জন্য প্রহসন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হওয়া উচিত। এর বেশি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।” তার মতে, উচ্চ আবেদন ফি তরুণদের জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা, বিশেষ করে যারা একাধিক চাকরিতে আবেদন করেন। অনেক চাকরিপ্রত্যাশী এই ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন, যার ফলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তারা অনেক ক্ষেত্রে আবেদনের সুযোগ হারাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: তরুণদের চাকরি পাওয়ার জন্য উপকারী পাঁচ কোর্স
সাধারণত সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি বিভিন্ন পদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে, যা ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এটি অনেক বেকার ও নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য এক ধরনের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে একজন চাকরিপ্রত্যাশী যখন একাধিক পদে আবেদন করেন, তখন এই ব্যয় বহন করা অনেকের জন্যই কঠিন হয়ে পড়ে। বর্তমান বাস্তবতায় এই উচ্চ ফি কমানোর দাবি দিন দিন বাড়ছে এবং সরকারের নেওয়া এই উদ্যোগকে বেশিরভাগ মানুষ স্বাগত জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি কমানো বেকার যুবকদের জন্য একটি আশীর্বাদ হতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক সংকট এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য এই ফি বহন করা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেন, কিন্তু আবেদনের প্রতিটি ফি তাদের জন্য বাড়তি খরচ হয়ে দাঁড়ায়। সরকারের এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে তরুণদের মাঝে নতুন উদ্যম তৈরি হবে এবং তারা আরও সহজে সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: পড়াশোনা মনে রাখার জন্য সেরা সময় কোনটি? জেনে নিন ৫ কৌশল
বিভিন্ন মহল থেকে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের এই পদক্ষেপ দেশের তরুণদের সরকারি চাকরিতে আগ্রহী করবে এবং তাদের চাকরির জন্য আরও বেশি সুযোগ এনে দেবে। এর মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শিক্ষাবিদ, চাকরিপ্রত্যাশী এবং তরুণ সমাজ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকেই আশা করছেন, সরকারের এই উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন হবে এবং চাকরিপ্রত্যাশী যুবকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
1 thought on “কমছে সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি, শিগগিরই আদেশ জারি”