বাংলাদেশের জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সম্প্রতি নতুন জীবনে পদার্পণ করেছেন। ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর, শুক্রবার, তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
তাঁর এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করেছে পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী এবং রাজনৈতিক অঙ্গনের সদস্যরা। সারজিস আলমের বিবাহের এই অনুষ্ঠানটি ছিল এক অভিজ্ঞান এবং আনন্দের মূহুর্ত, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপকভাবে।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
নবজীবনে পদার্পণ
সারজিস আলমের নতুন জীবনের শুরু নিয়ে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সারজিস আলমকে নবজীবনে প্রবেশের জন্য অভিনন্দন জানান এবং একটি ছবিও পোস্ট করেন।
আসিফ মাহমুদ তার পোস্টে লেখেন, “নবজীবনে পদার্পণে অভিনন্দন সারজিস ভাই। বিবাহিত জীবন সুখের হোক।” তাঁর শুভকামনা ছিল এক অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী ও আন্তরিক বার্তা, যা সারজিসের নতুন জীবনের আনন্দে আরো এক পলক যোগ করেছে।
এটি ছিল একটি সামাজিক উপলক্ষ্য, যা জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যক্রমে আরও শক্তি ও উদ্যোম যোগাবে। সারজিস আলমের এই বিবাহ শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত জীবনের নয়, বরং তার সংগঠন এবং তার রাজনৈতিক ও সামাজিক উপস্থিতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল।
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা বাহিনীতে সংস্কার- পুলিশ, র্যাব ও আনসারের নতুন পোশাক


বিবাহের আয়োজন এবং উপস্থিত অতিথিরা
সারজিস আলমের বিবাহের অনুষ্ঠানটি ছিল অত্যন্ত সাদামাটা এবং পারিবারিক। গাজীপুরের রাজিন্দ্র রিসোর্টে শুক্রবার আসরের নামাজের পর পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব।
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
আরও পড়ুন: টিউলিপের পর এবার ফেঁসে যাচ্ছেন পুতুল, বড় অ্যাকশনে দুদক
এছাড়া, সারজিস আলমের শ্বশুর, আইনজীবী লুৎফর রহমানও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যা এক অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল সারজিস আলমের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের উপলক্ষ্য। এই সমস্ত অতিথির উপস্থিতি এবং তাদের সান্নিধ্য সারজিস আলমের বিবাহকে এক স্মরণীয় দিন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সারজিস আলমের শ্বশুরবাড়ির পরিচিতি
সারজিস আলমের শ্বশুর, লুৎফর রহমান একজন প্রখ্যাত আইনজীবী। তার বাড়ি বরগুনা জেলার সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরীচন্না ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামে। তিনি তার পরিবার নিয়ে বর্তমানে ঢাকার বাসাবো এলাকার শাহজাহানপুরে বসবাস করছেন।
পরিবারে তার স্ত্রী, মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। লুৎফর রহমানের পরিবার জানায় যে, গাজীপুরের রাজিন্দ্র রিসোর্টে তাঁদের মেয়ে সারজিস আলমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।


সারজিস আলমের স্ত্রীর পরিচিতি
সারজিস আলমের স্ত্রীর সম্পর্কে জানা গেছে, তিনি একজন কোরআনের হাফেজা, যা তার জীবনের এক বিশেষ অর্জন। তবে, সারজিস আলমের স্ত্রীর নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি, যা পরিবার ও সারজিস আলমের পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাখা হয়েছে। তবে, তার প্রশংসা ও সম্মান অনেকেই করেছেন তার ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, যা তাকে আরো মর্যাদাপূর্ণ ও সন্মানিত করেছে।
এক বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে, তিনি একটি অত্যন্ত সুশীল ও ধর্মীয় পরিবারের সদস্য, যা সারজিস আলমের জীবন এবং বিবাহের ক্ষেত্রে আরো একটি মর্যাদার চিহ্ন। তার ধর্মীয় শিক্ষা এবং কোরআন হেফজের দক্ষতা এক মহৎ দৃষ্টিভঙ্গি এবং অনুসরণীয় আদর্শ সৃষ্টি করেছে।
সারজিস আলমের বিবাহ: একটি নতুন অধ্যায়
সারজিস আলমের বিবাহ শুধু তার জীবনে নয়, বরং জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যক্রমেও একটি নতুন অধ্যায় সূচিত করবে। তার বিবাহের মাধ্যমে সামাজিক সম্পর্কের উন্নতি এবং পরিবারের প্রতি তার একাগ্রতা স্পষ্ট হয়েছে। তিনি একটি নতুন পরিবারে পা রেখেছেন, যা তাকে আরো শক্তিশালী এবং মনোবলপূর্ণ করবে, তার কাজের ক্ষেত্রে।
সারজিস আলমের বিবাহিত জীবন সুখী ও সফল হোক, তার জন্য সকলের শুভকামনা। তার এই নতুন যাত্রা দেশের নাগরিক আন্দোলন এবং সমাজের উন্নতির জন্য এক নতুন দিশা দেখাবে বলে আশা করা যায়।
শেষ কথা
সারজিস আলমের বিবাহ তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল, যা তার কাজের প্রতি আগ্রহ এবং প্রতিশ্রুতি আরও দৃঢ় করবে। তার এই নতুন জীবন কেবল তার পরিবার এবং সমাজের জন্য নয়, বরং জাতির জন্যও অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
সমাজের প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন খুশির মুহূর্ত আসে, যা তাদের সামনে নতুন দিগন্ত খুলে দেয় এবং তাদের জীবনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। সারজিস আলমের এই বিবাহ তার জন্য একটি নতুন পথের শুরু, যা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।