বাংলাদেশে জমির মালিকানা বের করার প্রক্রিয়া এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজ হয়ে গেছ। আপনি চাইলে খুব সহজে অনলােইনে জমির মালিকানা বের করতে পারেন। তো চলুন জেনে নেয়া যাক, জমির মালিকানা নির্ণয় পদ্ধতি । ও হ্যা, এই পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে আমাদের খতিয়ান এবং পর্চা সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন।
খতিয়ান এবং পর্চা
খতিয়ান এবং পর্চা একই জিনিস বুঝায় এবং এটি জমির মালিকানা প্রমাণ করে. সরকারি ভাবে জমি জরিপ করার সময় জরিপের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে চূড়ান্ত ভাবে বাংলাদেশ ফরম নং ৫৪৬২ (সংশোধিত) তে ভূমির মালিকানা, দাগ নং এর বর্ণনা সহ যে, নথি প্রকাশ করা হয়ে থাকে তাকেই খতিয়ান বলে।
আরও পড়ুন: ঘরে বসেই অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ করবেন যেভাবে
খতিয়ান-পর্চাতে যে বিষয় গুলো উল্লেখ থাকে তা হলো দাগ নং, মৌজা নং, খতিয়ান নং, বাট্রা নং, এরিয়া নং ইত্যাদি। বাংলাদেশে সরকার দ্বারা 144 ধারা অনুযায়ী প্রস্তুত করা খতিয়ানকে আরএস খতিয়ান বলা হয় এবং 1998 সাল ও 1999 সাল হইতে চলমান জরিপ কে বিএএস খতিয়ান বলা হয়।
অনলাইনে জমির মালিকানা নির্ণয় পদ্ধতি
নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুস্মরণ করে আপনারা অনলাইনে জমির মালিকা বের করতে পারবেন।
প্রস্তুতি
অনলাইনে জমির মালিকানা জানার জন্য আপনার দরকার হবে একটি স্মার্ট মোবাইল এবং ইন্টারনেট কানেকশন।
প্রক্রিয়া
প্রথমে আপনাকে ভূমি রেকর্ড এবং জরিপ অধিদপ্তরের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপরে, খতিয়ান তথ্য অনুসন্ধান অপশনে গিয়ে নিধারিত ফরম পূরণ করে আপনার খতিয়ান দেখে নিতে পারবেন।
খতিয়ান ও পর্চা
এটি সম্পকে আমরা উপলো আলোচনা করেছি। মোটকথা, খতিয়ান বলতে যা বুঝায় পর্চা বলতেও তাই। মানে খতিয়ান এবং পর্চা একই জিনিস। যার নামে জমির খতিয়ান তার নামেই পর্চা। অনেক এলাকা বা গামে এটিকে বিভিন্ন নাম ধরে ডাকা হয়। জমির মালিকানা প্রমাণ করার জন্যে সরকারি যে, দলিল রয়েছে তাকেই খতিয়ান বলা হয়।
আরও পড়ুন: কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয়ে যায়, অনেকেই জানে না
খতিয়ানে উল্লেখিত তথ্য
খতিয়ানে জমির মালিকানা সহ আরো অনেক বিষয়ে উল্লেখ থাকে। সেগুলো হলো- দাগ নং, মৌজা নং, খতিয়ান নং, বাট্রা নং, এরিয়া নং ইত্যাদি।
কেন প্রয়োজন?
জমি ক্রয় করার আগে জমির মালিকানার বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে চান। তাহলে আপনাকে উক্ত নিয়ম গুলো অনুসরণ করে অনলাইনে জমির মালিকানা জেনে নিতে হবে।
এছাড়া অফলাইনে জমির মালিকানা এবং খতিয়ান-পর্চা সম্পর্কে জানতে নিকটস্থ এলাকা থেকে জমির মালিকানা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
সারাংশস্বরূপ, বাংলাদেশে অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার প্রক্রিয়া সহজ এবং সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে. এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আপনি নিজের জমি বা ক্রয় করার আগে জমির মালিকানার বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে পারবেন।
3 thoughts on “ঘরে বসেই অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার উপায়”