কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয়ে যায়, অনেকেই জানে না

জমি খাস

বাংলাদেশের ভূমি আইন অনুযায়ী, জমির মালিকদের প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন কারণে জমির মালিকরা খাজনা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। এই ক্ষেত্রে, কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয়ে যায় এবং সরকারের অধীনে চলে যায়, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন থাকে।

আরও পড়ুন : কমে যাচ্ছে পুরুষের শুক্রাণু : ভয়ঙ্কর তথ্য গবেষণার

খাজনা কি এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?

খাজনা হল ভূমি উন্নয়ন কর, যা ভূমি মালিকদের তাদের জমির জন্য সরকারকে প্রদান করতে হয়। এটি একটি বার্ষিক কর এবং এর মাধ্যমে সরকার ভূমি উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ পূরণ করে। খাজনা পরিশোধ না করলে সরকার সেই জমি খাস করে নিতে পারে, যা ভূমি মালিকদের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয়ে যায়?

বাংলাদেশের বর্তমান ভূমি আইন অনুযায়ী, যদি কোনো ভূমি মালিক টানা তিন বছর খাজনা পরিশোধ না করেন, তবে সেই জমি খাস হয়ে যায়। এই সময়সীমার মধ্যে খাজনা পরিশোধ না করলে সরকার সেই জমি অধিগ্রহণ করতে পারে এবং ভূমি মালিক তার জমির মালিকানা হারাতে পারেন।

খাজনা পরিশোধের প্রক্রিয়া

খাজনা পরিশোধের প্রক্রিয়া সহজ এবং সরল। ভূমি মালিকরা তাদের স্থানীয় ভূমি অফিসে গিয়ে খাজনা পরিশোধ করতে পারেন। এছাড়াও, বর্তমানে অনলাইনেও খাজনা পরিশোধের ব্যবস্থা রয়েছে, যা ভূমি মালিকদের জন্য আরও সুবিধাজনক।

আরও পড়ুন : ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম: ১০টি সহজ উপায়

খাজনা না দেওয়ার পরিণতি

  • জমি বাজেয়াপ্ত: যদি টানা তিন বছর খাজনা না দেওয়া হয়, তাহলে জমি খাস হয়ে যাবে এবং সরকারের অধীনে চলে যাবে।
  • জরিমানা: তিন বছর খাজনা না দিলে ৬.২০ শতাংশ হারে জরিমানা করে আদায় করা হবে2।
  • কারাদণ্ড: জালিয়াতির মাধ্যমে জমি অবৈধ দখল করলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

ভূমি মালিকানা সনদ

নতুন আইনের অধীনে, সরকার প্রত্যেক জমির মালিককে একটি ‘ভূমি মালিকানা সনদ’ প্রদান করবে, যা জমির মালিকানা নির্ধারণে চূড়ান্ত দলিল হিসাবে বিবেচিত হবে। এই সনদ দিয়ে জমি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সহজেই যাচাই করা যাবে এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যাবে।

কৃষিজমি অধিগ্রহণে বিধিনিষেধ

নতুন আইনে কৃষিজমি অধিগ্রহণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সরকারের জরুরি উন্নয়নমূলক কাজে কৃষিভূমির প্রয়োজন হলে অপেক্ষাকৃত অনুর্বর জমি নির্বাচন করতে হবে। দুই বা তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না, তবে জনস্বার্থে প্রয়োজন হলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় 2024

উপসংহার

ভূমি মালিকদের জন্য খাজনা পরিশোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিন বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয়ে যাবে এবং সরকারের অধীনে চলে যাবে। তাই সময়মত খাজনা পরিশোধ করা উচিত এবং নতুন ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন ২০২৩ সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। এই আর্টিকেলটি ভূমি মালিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গাইডলাইন হিসাবে কাজ করবে এবং তাদের খাজনা পরিশোধের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করবে।

 Juger Alo Google News  যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন