বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান এর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়েছে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের পর সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল মজবুত স্কোর গড়া। এদিন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের ব্যাটিংয়ে কিছু চ্যালেঞ্জ আসলেও শেষদিকে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২৫২ রানের লক্ষ্য দাঁড় করাতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান
ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালোই করেন সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম। তবে দ্রুত রান তোলার চাপ নিতে গিয়ে তামিম ১৭ বলে ২২ রান করে আউট হন। ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সৌম্য। শান্তর সঙ্গে তার ৭১ রানের জুটি গড়ে শুরুটা সুদৃঢ় করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রশিদ খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সৌম্য।
আরও পড়ুন: ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড: এমন লজ্জা ভারত আগে কখনো পায়নি
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এক প্রান্ত আগলে রেখে ৭৫ বলে ফিফটি করেন। মেহেদী হাসান মিরাজ তাকে সঙ্গ দিয়ে স্কোর ১৫০ রানের ওপরে নিয়ে যান। তবে মিরাজ বেশিক্ষণ পিচে টিকতে পারেননি; ৩৩ বলে ২২ রান করে আউট হন। শান্ত একদিকে বল ডট দিলেও দৃঢ়তা দেখিয়ে খেলতে থাকেন। তবে ১১৯ বলে ৭৯ রান করে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ আউট হলে দলের রান সংগ্রহে ভাটা পড়ে। ৯ বলে ৩ রান করে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহও তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি।
পরবর্তীতে জাকের আলী ও নাসুম আহমেদ অষ্টম উইকেটে দলের ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন। অভিষিক্ত জাকের আলী দারুণ ব্যাটিং করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। তিনি ২৭ বলের মোকাবেলায় অপরাজিত ৩৭ রান করেন, যেখানে নাসুম ২৪ বলে ২৫ রান করে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। শেষ পর্যন্ত তাসকিন আহমেদের ২ রান এবং জাকের আলীর কার্যকরী ইনিংসে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৫২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করাতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানকে আল্টিমেটাম: টাকা ফেরত দিতে পারছে না
আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন। রশিদ খান এবং আল্লাহ গজানফর দুজনেই দুটি করে উইকেট শিকার করেন, যা আফগান বোলিং আক্রমণের মূল স্তম্ভ ছিল। আফগানিস্তানের সামনে এখন বাংলাদেশের দেয়া ২৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করে সিরিজ নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ের এই সংগ্রাম এবং জাকের ও নাসুমের শেষ মুহূর্তের চেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে আফগানিস্তানের জন্য এই লক্ষ্য তাড়া করে জয় পাওয়া চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।