Real Madrid vs Man City: মাদ্রিদে চ্যাম্পিয়নস লিগ প্লে অফের দ্বিতীয় লেগে খেলতে যাওয়ার আগে রিয়াল মাদ্রিদকে কথার ফাঁদে ফেলে মনস্তাত্ত্বিকভাবে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন পেপ গার্দিওলা। শুরুতে নিজের জয়ের সম্ভাবনা ১ শতাংশ বললেও পরে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ। তাঁর সেই কথাটি মিথ্যা ছিল বলে মন্তব্য করেন গার্দিওলা নিজেই।
আজ বুধবার রাতে ম্যাচ শেষে গার্দিওলার মনে হতে পারে শেষ কথাটি তিনি হয়তো না বললেও পারতেন। শুধু কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দেওয়ার মতো জবাবই যে ছিল না গার্দিওলার হাতে। দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে সিটির এক শতাংশ সম্ভাবনাকে শূন্যে নিয়ে গেছেন এই ফরাসি তারকা।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অবশ্য ম্যাচ আধাঘণ্টা না পেরোতেই আক্ষরিক অর্থেই সিটির সম্ভাবনা এক শতাংশে নেমে আসে। প্রথম লেগে এক গোলে পিছিয়ে থাকা দলটি তখন পিছিয়ে পড়েছে ৩ গোলে। এমবাপ্পের জোড়া গোলে রিয়াল তখন এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে।
Real Madrid vs Man City
প্রথমার্ধের পর এই ম্যাচে সিটির ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দলটির অন্ধ ভক্তরাও হয়তো আর দেখেননি। ম্যাচের ফলে তো বটেই শারীরিক ও মানসিকভাবেও রিয়ালের কাছে তখন আত্মসমর্পণ করে বসেছে সিটি। ম্যাচের পরের অর্ধটুকু তাই ছিল নিছকই আনুষ্ঠানিকতার। যেখানে শেষ পর্যন্ত রিয়ালের কাছে সিটির হার ৩-১ গোলের ব্যবধানে। দুই লেগ মিলিয়ে যা ৬-৩।
আরও পড়ুন: নারীদের ঘরে বসে কাজ: 2025 সালের সেরা ১০টি সহজ উপায়
আরও পড়ুন
এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়ের ফলে সিটির বাজে মৌসুমটা আরও হতাশায় ডুবে গেল। অন্য দিকে এই জয়ে প্লে অফ দেয়াল টপকে পরের পর্বে পৌঁছে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।


পিছিয়ে থেকে খেলতে নামা সিটিকে আজ লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনতে পারত একটি গোল। ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় সেই গোল এসেছে বটে। কিন্তু গোলটি সিটি পায়নি, পেয়েছে রিয়াল। নিজেদের অর্ধ থেকে রাউল অ্যাসেনসিও বল বাড়ান কিলিয়ান এমবাপ্পের উদ্দেশ্যে। লেগে থাকা দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে এমবাপ্পে বল তুলে দেন সিটি গোলরক্ষক এদেরসনের মাথার ওপর দিয়ে। এই গোল রিয়ালকে দুই লেগ মিলিয়ে দুই গোলের লিড এনে দেয়।
সিটির বিপদ আরও বাড়ে চোটে পড়ে একটু পর চোটে পড়ে জন স্টোনস মাঠ ছেড়ে গেলে। দুই গোলে পিছিয়ে পড়া সিটিকে এ সময় একরকম পেয়ে বসে রিয়াল। একের পর এক আক্রমণে সিটির নাভিশ্বাস তুলে ছাড়ে রিয়াল আক্রমণভাগ। এমনকি ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটের মধ্যে লক্ষ্যে কোনো শটও নিতে পারেনি সিটি।


সিটি কিছু করতে না পারলেও রিয়াল কোনো ছাড় দেয়নি। ৩৩ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করে সিটির বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন এমবাপ্পে। রিয়ালের আক্রমণভাগের চার তারকার প্রত্যেকের স্পর্শ ছিল এই গোলে। তবে চূড়ান্ত স্পর্শটা ছিল এমবাপ্পেরই। জোড়া গোল নিয়েই বিরতিতে যায় রিয়াল।
বিরতির পরও ম্যাচে নাটকীয় পরিবর্তন আনতে পারেনি সিটি। এ সময়ও অতিথিদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে স্বাগতিকরা। যার ফল রিয়াল পায় ৬১ মিনিটে। নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করে সিটির হারের বেদনা আরও বাড়িয়ে দেন এমবাপ্পে।
দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২ গোলে রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার পর বাকি আধাঘণ্টা খেলার জন্যই শুধু খেলেছে দুই দল। শেষ দিকে নিকো গঞ্জালেস সিটির হয়ে একটি গোলও শোধ করেন। কিন্তু রিয়াল ততক্ষণে সিটির ধরাছোঁয়ার অনেক বাইরে।
সুত্র: প্রথম আলো