বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আনসার সদস্যদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধার পেছনের কারণ ও এর পরিণতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এই নিবন্ধে।
আরও পড়ুন: ঘরে বসেই অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার উপায়
সংঘর্ষের পেছনের কারণ
রোববার রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যরা চাকরি জাতীয়করণসহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। এদিকে, দেশে চলমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা আনসারদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে, এই আহ্বান পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। আন্দোলনকারীরা দুই ছাত্র সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে জিম্মি করে বলে অভিযোগ উঠে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুই সমন্বয়ক তাদের ফেসবুক পোস্টে আটকে রাখার বিষয়ে জানালে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হতে থাকেন। এরপর তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন।
সংঘর্ষের ঘটনা
সচিবালয়ে পৌঁছানোর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আনসার সদস্যদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এই সংঘর্ষে ৩৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ঘরে বসেই অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ করবেন যেভাবে
পরিণতি ও প্রতিক্রিয়া
সংঘর্ষের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম শিক্ষার্থীদের রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেন। তার এই আহ্বান সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং অনেকেই আনসার বাহিনী বিলুপ্তির দাবি জানান।
এই সংঘর্ষের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কাজের মধ্যে এমন একটি সংঘর্ষের ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
আনসার সদস্যদের আন্দোলন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর কী প্রভাব ফেলবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে, এই ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে এবং সমাধানের পথ খুঁজতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সংলাপের মাধ্যমে এগিয়ে আসতে হবে।