ইউনূসের ‘মেগাফোন কূটনীতি’ ভারতের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে

মেগাফোন কূটনীতি

সম্প্রতি নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘মেগাফোন কূটনীতি’ বিষয়টি ভারতের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। শেখ হাসিনার ভারত অবস্থান এবং তার ভবিষ্যৎকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে নতুন এক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বর্তমানে নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ড. ইউনূস। এই মন্তব্যে বিস্মিত ভারতীয় কূটনীতিকরা একে ‘মেগাফোন কূটনীতি’ বলে অভিহিত করেছেন।

আরও পড়ুন: ৮ মাসে হাতে কোরআন লেখা নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে দিনাজপুরের স্কুলছাত্রী

ড. ইউনূস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার ভারত অবস্থান নিয়ে তার মতামত প্রকাশ করেন, যা দুই দেশের মধ্যে চলমান সম্পর্ককে আরো জটিল করেছে। তার বক্তব্যে তিনি বলেন, “ভারত যদি শেখ হাসিনাকে রাখতে চায়, তবে তাকে চুপ থাকতে হবে।” এই মেগাফোন কূটনীতি নিয়ে ভারতীয় কূটনীতিকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং মনে করেন, দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলো শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

শেখ হাসিনাকে ভারতপন্থী হিসেবে দেখা হয় এবং তার ১৫ বছরের শাসনামলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক দৃঢ় ছিল। কিন্তু তার ক্ষমতাচ্যুতি এবং ভারতে আশ্রয় গ্রহণের পর থেকে সম্পর্কের এই দৃঢ়তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ড. ইউনূসের ‘মেগাফোন কূটনীতি’ নিয়ে ভারত বিস্মিত, কারণ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বেশ কয়েকটি সংবেদনশীল ইস্যু উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন: সিলেটের গোলাপগঞ্জে খুতবা দেওয়ার সময় ইমামের মৃত্যু

এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রতিক্রিয়া অনিশ্চিত থাকলেও ড. ইউনূসের এই মেগাফোন কূটনীতি ভারতের সাবেক কূটনীতিকদের মধ্যে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমান সম্পর্ক নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। তবে বাংলাদেশ সরকারের মুখপাত্রদের মতে, ড. ইউনূস তার মতামত প্রকাশ করতে সম্পূর্ণ স্বাধীন।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অবস্থান এবং ড. ইউনূসের মেগাফোন কূটনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দুই দেশের কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আগের তুলনায় কিছুটা দুর্বল হলেও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা এবং সমঝোতার মাধ্যমেই সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।

 Juger Alo Google News যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন