শায়খ আহমাদুল্লাহ সাম্প্রতিককালে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন যেখানে তিনি রাষ্ট্রধর্ম এবং দেশের উন্নয়ন নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে, তিনি মালয়েশিয়াকে একটি সফল উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে সংবিধানে প্রতিষ্ঠিত রেখে উন্নতির শিখরে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ৮ মাসে হাতে কোরআন লেখা নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে দিনাজপুরের স্কুলছাত্রী
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “মালয়েশিয়ার সংবিধানের ৩(১) ধারায় রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে গ্রহণ করা হয়েছে, তবে অন্যান্য ধর্মের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের ৬০-৬৫% মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভিত্তিতে, তারা রাষ্ট্রধর্মকে কেন্দ্র করে উন্নয়নের পথে এগিয়েছে।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন যে, রাষ্ট্রধর্ম অগ্রাধিকার পেলেও একটি দেশ প্রগতিশীল হতে পারে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে উন্নত হতে পারে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ প্রশ্ন তোলেন, কেন ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়? তিনি বলেন, “যুগের পর যুগ ধর্মের বিচ্ছিন্নতা বাংলাদেশের উন্নয়নকে কতটা এগিয়েছে, সেটা এখন একটি বড় প্রশ্ন।” তিনি মনে করেন, যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দেওয়া হতো, তবে দেশের উন্নয়ন আরো দ্রুত ও টেকসই হতো।
আরও পড়ুন: সিলেটের গোলাপগঞ্জে খুতবা দেওয়ার সময় ইমামের মৃত্যু
এছাড়াও, তিনি আরো উল্লেখ করেন যে মালয়েশিয়ার মতোই, বিশ্বের অনেক দেশই রাষ্ট্রধর্মকে গ্রহণ করে দেশের উন্নয়নের পথে এগিয়েছে। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, “মালয়েশিয়া উন্নতির শিখরে উঠার একটি প্রমাণ। তাহলে বাংলাদেশে সমস্যাটা কোথায়?”
শায়খ আহমাদুল্লাহ’র মতে, রাষ্ট্রধর্মকে অগ্রাধিকার দিলে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মূল্যবোধকে মান্য করলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব।
উপসংহার:
শায়খ আহমাদুল্লাহর বক্তব্যে স্পষ্ট যে, ধর্মকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা কোনোভাবে দেশের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। বরং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রাষ্ট্রধর্মের অগ্রাধিকার রেখে দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
3 thoughts on “এবার রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ”