যুগের আলো ডেস্ক: রাজধানী ঢাকায় ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে, যা ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ডিমের দাম ডজন প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এর ফলে, যেখানে গত সপ্তাহে একডজন ডিমের দাম ছিল ১৮০ টাকা, সেখানে এখন কারওয়ান বাজারে তা নেমে এসেছে ১৫০ টাকায়।
তবে এখনও পাড়া-মহল্লার খুচরা বাজারে ডিমের দাম কিছুটা বেশি, ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা ডজন। একজন স্থানীয় বাসিন্দা মন্তব্য করেছেন যে শুধু দাম নির্ধারণ করলেই হবে না, সরকারকে কঠোর নজরদারি করতে হবে যাতে নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি হয়।
আরও পড়ুন: ডিমের দাম ১০ টাকা ৫৮ পয়সায় আজ থেকে বিক্রি শুরু
ডিম বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে দাম কমেছে। বড় উৎপাদক কোম্পানিগুলো সরাসরি আড়তে ডিম সরবরাহ শুরু করায় দাম কমতে শুরু করেছে।
সরকার ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং আমদানি শুল্ক ২৫% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে। এই শুল্ক সুবিধা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
ঢাকার প্রধান দুই পাইকারি বাজারে – তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে – প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। এই পদক্ষেপগুলো ডিমের দাম আরও কমাতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আজকের বাজার দর: ডালের বাজারে নৈরাজ্য চরমে, কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা
যদিও ডিমের দাম কমেছে, সবজির দাম এখনও উচ্চ রয়েছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কম। গত কয়েক মাসে দেশে বন্যা-বৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সবজির দাম দ্রুত কমার সম্ভাবনা কম।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের মতে, দেশে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা ৪ কোটি, কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে ৪ কোটি। তবুও ডিমের দাম বৃদ্ধির পিছনে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিকে দায়ী করা হচ্ছে।
সামগ্রিকভাবে, ডিমের দাম কমায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে সরকারি নীতিমালা ও বাজার নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা এখনও রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো ডিমের দাম আরও স্থিতিশীল করবে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখবে। একই সাথে, সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
3 thoughts on “ডিমের দাম ডজনে কমেছে ২৫ টাকা- ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি”