২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস ও নমুনা প্রশ্নপত্র ষষ্ঠ-নবম শ্রেণির জন্য প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এ পরীক্ষাগুলো তিন ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ৭০ নম্বরের লিখিত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীরা বাকি ৩০ নম্বর শিখনকালীন মূল্যায়ন থেকে অর্জন করবেন।
১১ সেপ্টেম্বর, বুধবার এনসিটিবি থেকে জানানো হয় যে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি দুটি ধাপে ভাগ করা হবে—শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষা। এটি ২০২২ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রমের আলোকে তৈরি করা পাঠ্যপুস্তকের ওপর ভিত্তি করে হবে।
ষষ্ঠ-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস এবং নমুনা প্রশ্ন প্রকাশ
আরও পড়ুন: পড়াশোনা মনে রাখার জন্য সেরা সময় কোনটি? জেনে নিন ৫ কৌশল
বার্ষিক মূল্যায়নের কাঠামো:
প্রতিটি বিষয়ের জন্য সর্বমোট ১০০ নম্বরের মূল্যায়ন কার্যক্রম থাকবে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ শিখনকালীন মূল্যায়নের জন্য এবং ৭০ শতাংশ বার্ষিক পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত হবে। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে।
শিখনকালীন মূল্যায়নের নিয়মাবলী:
প্রতিটি বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকে উল্লেখিত বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন—একক কাজ, জোড়ায় কাজ এবং পোস্টার প্রেজেন্টেশন—শিখনকালীন মূল্যায়নের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই মূল্যায়ন কার্যক্রমগুলো বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর আগেই সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষকদের অবশ্যই এসব কার্যক্রমের রেকর্ড যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং বার্ষিক পরীক্ষার পূর্বে শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
বার্ষিক পরীক্ষার পদ্ধতি:
২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষাগুলো সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়ের জন্য ১০০ নম্বরের লিখিত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে নেওয়া হবে, যার সময়সীমা ৩ ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র তৈরি, মানবণ্টন এবং নমুনা প্রশ্নপত্র এনসিটিবির নির্দেশিকায় বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার উত্তর লিখতে প্রয়োজনীয় খাতা বিদ্যালয় কর্তৃক সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা
গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণের প্রক্রিয়া:
শ্রেণি উত্তরণের জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন ১০০ নম্বরের মধ্যে হবে, যার মধ্যে ৩০ শতাংশ শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং ৭০ শতাংশ বার্ষিক পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ থাকবে। শিখনকালীন মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে বার্ষিক পরীক্ষার ৭০ শতাংশ যোগ করে মোট নম্বরের ভিত্তিতে বার্ষিক ফলাফল নির্ধারণ করা হবে।
যদি কোনো শিক্ষার্থী কোনো বিষয়ে ৮০ থেকে ১০০ নম্বর পায়, তবে সে A+ বা ৫ পয়েন্ট পাবে। ৭০ থেকে ৭৯ নম্বর পেলে A বা ৪ পয়েন্ট, ৬০ থেকে ৬৯ নম্বর পেলে A- বা ৩.৫ পয়েন্ট, ৫০ থেকে ৫৯ নম্বর পেলে B বা ৩ পয়েন্ট, ৪০ থেকে ৪৯ নম্বর পেলে C বা ২ পয়েন্ট, ৩৩ থেকে ৩৯ নম্বর পেলে D বা ১ পয়েন্ট এবং ০ থেকে ৩২ নম্বর পেলে F বা ০ পয়েন্ট পাবে।
পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের নীতি:
যদি কোনো শিক্ষার্থী কোনো বিষয়ে সর্বনিম্ন D গ্রেড পায়, তবে তাকে সেই বিষয়ে উত্তীর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তবে যদি কোনো শিক্ষার্থী ৩ বা ততোধিক বিষয়ে D গ্রেড পায়, তাহলে সে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারবে না। তবে, বিশেষ ক্ষেত্রে বিষয় শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষার্থীর উত্তরণ বিবেচনা করতে পারেন। এই বিশেষ বিবেচনা কেবল ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: Tree Plantation Paragraph for Class 6 to 10, SSC and HSC
সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির গুরুত্ব:
শিক্ষার্থীদের সহজে শিক্ষাক্রমে আগ্রহী রাখার জন্য, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে বার্ষিক পরীক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুসরণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়া মূল্যায়নের জন্য এনসিটিবি কর্তৃক নির্ধারিত নমুনা প্রশ্নপত্র এবং পাঠ্যসূচির নির্দেশিকা মেনে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এই মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শেখার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হবে এবং তাদের শিক্ষা জীবনে আরও দক্ষ হয়ে উঠার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন