নওয়াজ শরীফের পাকিস্তানে ফিরে আসা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচনের সময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ চলতি সপ্তাহের শেষে স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে চার বছর পর দেশে ফিরছেন। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমা সময়ের সাথে সেনাবাহিনীর পথে কাঁটা হয়েছিল, এই কারণে তার দেশে ফেরা খুব কম লোকে ধারণা করতে পেরেছিলেন।
নওয়াজ শরীফের পূর্বেই পাকিস্তানে সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির দায়ে সাজা খেয়েছিলেন, তবে স্বাস্থ্যগত কারণে ২০১৯ সালে জেল থেকে বাইরে আসেন। এখন পাকিস্তানের রাজনীতিতে সমস্যা এবং চরিত্রের পরিবর্তনের সময় অগ্রণী দানবোধে সেনাবাহিনী নওয়াজ শরীফকে আবার স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নেচ্ছে। এমনকি তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে সব চরিত্রই যেন বদলে যাচ্ছে, নওয়াজ শরীফের প্রতিপক্ষ ইমরান খান ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন, তবে তিনি এখন সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে কারাগারে রয়েছেন।
নওয়াজ শরীফের ফিরে আসার পরিণাম কী হবে পাকিস্তানে? প্রথমেই, তিনি পূর্বে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তার পাকিস্তান মুসলিম লীগ-ন (পিএমএল-এন) দলটি সরকারের দায়িত্ব নিয়েছিল। তার ছোট ভাই শাহবাজ শরীফ ছিলেন প্রধান মন্ত্রী, এবং বড় ভাই নওয়াজ শরীফের ফিরে আসার সাথে তার ছোট ভাই শাহবাজ শরীফ বাংলাদেশের লাহোরে এক জনসমাবেশে যোগ দিচ্ছেন।
এছাড়া, নওয়াজ শরীফের ফিরে আসার সাথে সম্ভাব্যতা থাকতে পারে যে তিনি আবারও প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তবে, এখনও অত্যন্ত নির্দিষ্ট নয় যে তার নির্বাচনে কীভাবে সফল হবেন।
সেকেন্ডলি, নওয়াজ শরীফের ফিরে আসার পরিণাম পাকিস্তানের রাজনীতিক পরিবেশে কীভাবে পরিণত হবে সেটি দেখতে হবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সমর্থনে সেনাবাহিনী এবং বিশেষজনের বলা হয়েছে যে তার পূর্বে সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির দায়ে সাজা খেওয়া ছিল, এবং তিনি এখন দেশে নির্বাচন ক্ষেত্রে ফিরে আসছেন তাদের পক্ষ থেকে নতুন আশা প্রতিষ্ঠাপন হতে পারে।
তৃতীয়ভাবে, নওয়াজ শরীফের ফিরে আসার পর পাকিস্তানের সমৃদ্ধ রাজনীতিক ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হবে, এবং এটি পাকিস্তানের রাজনীতিক দলগুলির দলে দলে আবদ্ধ হতে পারে। নওয়াজ শরীফের ফিরে আসার সময় পাকিস্তানের রাজনীতিক দলগুলি সম্ভাব্য সম্মিলিত বা সমর্থনে আসতে পারে এবং তার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে একটি একক উম্মীদবার বেছে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
এই সব সম্ভাব্য দিকে নজর দেয়া গেছে, তবে এখন পর্যন্ত এটি শুধুমাত্র সম্ভাবনা, এবং নীতিসংকটের সময়ে পাকিস্তানের রাজনীতিক পরিবেশ কোনও কারণেই পরিস্থিতি বদলানো সহীত স্পষ্ট পরিবর্তনের সূচনা করে নি।