ফিতরা ২০২৫: ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ দান যা মুসলিমদের ঈদ-উল-ফিতরের সময় গরিব ও দুস্থদের সাহায্য করার জন্য প্রদান করতে হয়, সমাজে সমতা এবং সুরক্ষা প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এটি একটি ধর্মীয় কর্তব্য, যা মুসলমানদের নিজ নিজ আর্থিক সামর্থ্যের ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। ফিতরা শুধু একটি দান নয়, এটি এক ধরনের মানবাধিকারও। কেননা এটি সমাজের অভাবী অংশের জন্য একটি আর্থিক সহায়তা, যা তাদের ঈদের আনন্দে অংশগ্রহণ করার সুযোগ প্রদান করে।
২০২৫ সালের ফিতরার পরিমাণ এবং এর নির্ধারণ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা এই আর্টিকেলে করা হবে, যেখানে কিভাবে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়, এর পদ্ধতি কী এবং কেন এটি মানবাধিকার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে কাজ করে, তা বিশ্লেষণ করা হবে।
যুগের আলো’র সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
ফিতরাত অর্থ কি
ফিতরা (ফিতরাত) একটি ইসলামিক দান যা ঈদ-উল-ফিতরের সময় গরিব এবং অসহায় মানুষের জন্য দেওয়া হয়। এটি মুসলিমদের জন্য একটি ধর্মীয় কর্তব্য, যা ঈদের নামাজের আগে গরিবদের সাহায্য করার জন্য প্রদান করতে হয়। ফিতরা সাধারণত খাদ্য বা এর বাজারমূল্য হিসেবে দেওয়া হয়, এবং এর মাধ্যমে গরিবদের ঈদের আনন্দে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়।
ফিতরার মাধ্যমে, সমাজে সমতা এবং সহানুভূতির সৃষ্টি হয়। মুসলিমরা তাদের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী ফিতরা প্রদান করে এবং এটি গরিবদের জীবনে ঈদ উদযাপনের একটি মৌলিক অংশ হয়ে ওঠে। ঈদের সময় এই দানের মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র অংশের প্রতি সাহায্য ও সহানুভূতি প্রদর্শিত হয়।
আরো পড়ুন: ঈদুল ফিতর ২০২৫ কত তারিখে: যেভাবে মিলবে টানা ৯ দিনের ছুটি
আরও পড়ুন
ফিতরার পরিমাণ ২০২৫: যে কারণে কমল ফিতরার হার
এবারের ঈদুল ফিতরে ফিতরার হার কমেছে এবং এর প্রধান কারণ হিসেবে আটার দাম কমে আসা। এই প্রথমবারের মতো আটা ও অন্যান্য পণ্যের মূল্য কমানোর ফলে, ২০২৫ সালের ফিতরা কমিয়ে সর্বনিম্ন ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের দুই বছর ছিল ১১৫ টাকা। ২০২২ সালে ফিতরা ছিল ৭৫ টাকা, তবে ২০২৩ সালে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কারণে ফিতরার পরিমাণ ১১৫ টাকা করা হয়েছিল।
এ বছর, জনপ্রতি সর্বোচ্চ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে ২,৮০৫ টাকা, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম। গত বছর ছিল ২,৯৭০ টাকা।
এ সিদ্ধান্তটি গত মঙ্গলবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত এক সভায় গৃহীত হয়েছে, যেখানে সভাপতিত্ব করেছেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল খালেক।
ফিতরা কিভাবে নির্ধারণ হয়?
ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী, সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ সম্পদের মালিক হলে ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজের আগে গরিবদের মাঝে ফিতরা প্রদান করা বাধ্যতামূলক।
ফিতরা নির্ধারণের জন্য ইসলামে পাঁচটি পণ্যের উল্লেখ করা হয়েছে: আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির। মুসলমানরা এ পাঁচটি পণ্যের যেকোনো একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করতে পারে। এই পণ্যের বাজারমূল্য প্রতি বছর সংগ্রহ করা হয় এবং সেগুলোর ভিত্তিতে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। এই ব্যবস্থা গরিবদের জন্য ঈদের আনন্দে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করে।
ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণের জন্য একটি বিশেষ নিয়ম আছে। একজন ব্যক্তি তার হাতের তালু একত্রিত করে ধরে যে পরিমাণ খাদ্য সেখানে রাখতে পারে, সেটিই ফিতরার পরিমাণ হিসেবে গণ্য হয়। এরপর, সেই পরিমাণকে আর্থিক মূল্যে রূপান্তর করা হয়। এই পরিমাপের জন্য ‘অর্ধ সা’ ও ‘এক সা’ নামে দুটি প্রাচীন আরব পরিমাপের একক ব্যবহৃত হয়। ‘অর্ধ সা’ মানে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম এবং ‘এক সা’ মানে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম।
ফিতরা প্রদান করার জন্য সচ্ছল মুসলিমদের কর্তব্য হলো তাদের অতিরিক্ত খাদ্য বা অর্থ দিয়ে গরিবদের সাহায্য করা। শুধু নিজের জন্য নয়, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্যও ফিতরা দেওয়া বাধ্যতামূলক। বিশেষ করে, একজন পরিবারের কর্তা বা অভিভাবক তার নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য ফিতরা প্রদান করবেন। এটি ইসলামে একটি বিধান হিসেবে পালন করতে হয়।
ফিতরা প্রদান শুধু একটি ধর্মীয় দায়িত্ব নয়, এটি সমাজের দরিদ্র ও অসহায় সদস্যদের জন্য ঈদের আনন্দে অংশগ্রহণের একটি সুযোগ। এর মাধ্যমে সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সকলের জন্য ঈদের আনন্দে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
এবারের ফিতরার পরিমাণ:
২০২৫ সালে বাংলাদেশের ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে নিম্নলিখিতভাবে:
- সর্বনিম্ন ফিতরা: ১১০ টাকা
- সর্বোচ্চ ফিতরা: ২৮০৫ টাকা
- গম বা আটা: ১ কেজি ৬৫০ গ্রামের বাজারমূল্য ১১০ টাকা
- যব: ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বাজারমূল্য ৫৩০ টাকা
- খেজুর: ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বাজারমূল্য ২ হাজার ৩১০ টাকা (গত বছর ছিল ২ হাজার ৪৭৫ টাকা)
- কিশমিশ: ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বাজারমূল্য ১ হাজার ৯৮০ টাকা (গত বছর ছিল ২ হাজার ১৪৫ টাকা)
- পনির: ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বাজারমূল্য ২ হাজার ৮০৫ টাকা (গত বছর ছিল ২ হাজার ৯৭০ টাকা)
এই বছর ফিতরার পরিমাণ কমানোর কারণ হিসেবে বাজারমূল্যের পরিবর্তনকে দায়ী করা হচ্ছে, যা গরিবদের জন্য ঈদের আনন্দে অংশগ্রহণের একটি বড় সুযোগ এনে দিয়েছে।
ফিতরা প্রদান শুধুমাত্র একটি দান নয়, এটি মুসলিমদের সামাজিক দায়িত্ব এবং মানবিক কর্তব্যের অংশ। এবারের কমানো পরিমাণ গরিবদের সাহায্য করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে, যাতে তারা ঈদের আনন্দে অংশ নিতে পারে।


ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে
ফিতরা সাধারণত দরিদ্র ও অভাবী মানুষদের দেওয়া হয়, যারা রমজান মাসের শেষে সাধারণ জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক উপকরণে অভাবগ্রস্ত। ইসলামে, ফিতরা একটি সাধুবোধক দান হিসেবে বিবেচিত, যা ব্যক্তির পক্ষ থেকে দরিদ্রদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়।
ফিতরা নিম্নলিখিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগুলিকে দেওয়া যেতে পারে:
- গরীব ও অভাবী: যারা খাদ্য বা মৌলিক উপকরণ সংগ্রহ করতে অক্ষম।
- মিসকিন (অভাবগ্রস্ত): যাদের কোন স্থায়ী আয়ের উৎস নেই এবং তাদের প্রাথমিক প্রয়োজন পূরণের জন্য সাহায্যের প্রয়োজন।
- পথচারী: যাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার জন্য স্থানীয় এলাকার বাইরে যাত্রা করতে হয়।
- আলেম ও শিক্ষাবিদ: বিশেষভাবে যারা ইসলামের প্রচার করছেন এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার জন্য দান প্রাপ্য।
এছাড়াও, ফিতরা শুধুমাত্র মুসলিমদের মধ্যে দেওয়া হয় এবং এটি রমজানের শেষ দিনে দেওয়া উচিত, যাতে এটি ঈদুল ফিতরের দিনে দরিদ্রদের জন্য উৎসবের আনন্দে অংশগ্রহণ করতে সাহায্য করতে পারে।
ফিতরার সামাজিক প্রভাব
ফিতরা শুধু একটি ধর্মীয় দান নয়, এটি সমাজের মধ্যে শক্তিশালী সামাজিক প্রভাব ফেলতে সক্ষম। মুসলিমরা যখন নিজেদের আর্থিক সামর্থ্যের ভিত্তিতে ফিতরা প্রদান করে, তখন তারা সমাজের দুর্বল অংশের প্রতি সহানুভূতি এবং দয়া প্রদর্শন করে। এটি সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক, কারণ এটি গরিব ও ধনীদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে।
ফিতরা মুসলিম সমাজে ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধির কাজও করে। একটি পরিবার যদি ফিতরা প্রদান করে, তবে সেই পরিবারটি শুধু নিজেদের জন্য নয়, তাদের ওপর নির্ভরশীল অন্যান্য সদস্যদের জন্যও ফিতরা প্রদান করবে। এই মাধ্যমে সমাজের সকল সদস্য একে অপরের প্রতি সহানুভূতি এবং দায়িত্ববোধ অনুভব করতে পারে।
ফিতরার উদ্দেশ্য এবং ইসলামের দৃষ্টিকোণ
ফিতরার মূল উদ্দেশ্য হল গরিবদের সাহায্য করা এবং তাদের ঈদের আনন্দে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা। ইসলাম ধর্মে এই দানকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মুসলিমরা যে পরিমাণ খাদ্য বা অর্থ নিজেদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত রয়েছে, তার ভিত্তিতে ফিতরা প্রদান করবে। এটি ইসলামের মানবিক দিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ফিতরা প্রদান, ইসলামের একটি বিধান হিসাবে, মুসলিমদেরকে তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য মনে করিয়ে দেয়। তাদের মাধ্যমে সচ্ছল মুসলিমরা গরিব ও অসহায়দের জন্য নিজেদের সম্পদ ভাগ করে নেয়, যাতে সমাজের অভাবী সদস্যদের কষ্ট কমাতে সহায়ক হয়।


কেন ফিতরা মানবাধিকার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ?
ফিতরা প্রদান করার মাধ্যমে শুধু একজন ব্যক্তি ঈদের আনন্দে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় না, বরং একটি বৃহৎ সামাজিক উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়। সমাজের দরিদ্র এবং অসহায়দের সহায়তা করার মাধ্যমে তারা নিজেদের মানবিক দায়িত্ব পালন করে। এই দানের মাধ্যমে সমাজের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং গরিবরা ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দের অংশীদার হতে পারে।
ফিতরা মানবাধিকারও, কারণ এটি সকল মানুষকে সমান সুযোগ দেয়। গরিব এবং অসহায় মানুষদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়, যা তাদের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা করে। এটি সামাজিক দায়বদ্ধতার এক ধরনের উদাহরণ যেখানে একটি সমাজের প্রতিটি সদস্যের প্রতি সচ্ছল মানুষদের দায়িত্ব রয়েছে।
ফিতরা ২০২৫: শেষ কথা
ফিতরা ২০২৫ এর পরিমাণ এবং নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় বিষয় নয়, এটি মানবাধিকার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ইসলামের একটি মৌলিক দান এবং প্রতিটি মুসলিমের জন্য একধরনের দায়বদ্ধতা, যা গরিবদের সাহায্য করতে সহায়তা করে। এবারের ফিতরার পরিমাণে কিছু পরিবর্তন এসেছে, তবে এর গুরুত্ব কমেনি। বরং এটি আরও বেশি মানুষের জন্য সহায়তা এবং সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করবে।
ফিতরা সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের ঈদের আনন্দে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করে, যা এক ধরনের মানবিক দায়িত্ব। এই দান কেবল ধর্মীয় কর্তব্য নয়, বরং এটি একটি সামাজিক মূল্যবোধও বহন করে, যেখানে সমাজের সকল সদস্য একে অপরের প্রতি দায়িত্ববোধ অনুভব করতে পারে।
ফিতরা সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)
টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় হবে কি?
হ্যাঁ, ফিতরা সাধারণত খাদ্যসামগ্রী দিয়ে আদায় করা হলেও, বর্তমানে টাকা দিয়েও ফিতরা আদায় করা যায়। অধিকাংশ মসজিদ বা ইসলামিক সংগঠন টাকা দিয়ে ফিতরা গ্রহণ করে থাকে, যা খাবারের বাজারমূল্য অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। এটি সুবিধাজনক এবং সহজ হয়, বিশেষ করে যখন খাদ্যসামগ্রী দেওয়া সম্ভব না হয়।
ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে?
ফিতরা গরীব, অভাবী এবং ভিক্ষুকদের দেওয়া যেতে পারে। যারা দিন-দিনের আয়-রোজগারে কষ্ট পাচ্ছেন এবং যাদের নিকট নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ নেই, তাদের ফিতরা প্রদান করা উচিত। এছাড়া, যাদের জরুরি প্রয়োজন এবং যারা নিজে নিজে উপার্জন করতে সক্ষম না, তাদেরও ফিতরা প্রদান করা যায়।
প্রবাসীদের ফিতরা দেওয়ার নিয়ম কী?
প্রবাসীরা যেহেতু অন্য দেশে থাকেন, তাদের ফিতরা স্থানীয় ভাবে দেওয়া উচিত। তারা টাকার মাধ্যমে ফিতরা আদায় করে, এবং যদি দেশে কোনো সংগঠন বা মসজিদে ফিতরা জমা দিতে সক্ষম হন, তবে সেখানেও দিতে পারেন। প্রবাসী মুসলিমরা নিজেদের দেশে বা অন্য কোনো দরিদ্র দেশের মুসলিমদেরকে ফিতরা প্রদান করতে পারেন।
ফিতরা কাদের উপরে ওয়াজিব?
ফিতরা উপরে ওয়াজিব (আবশ্যক) তাদের উপর, যারা ইসলামী বছরে রোজা রাখতে সক্ষম এবং একধরণের মালিকানা বা সম্পত্তি রয়েছে যা পরিমাণের নির্দিষ্ট সীমা (নিসাব) পৌঁছায়। এটি সাধারনত তাদের উপর যারা পরিমাণে অন্তত এক “নিসাব” সম্পত্তির মালিক এবং যে সমস্ত ব্যক্তি রোজা রাখতে সক্ষম।
ফিতরা কাদের দেয়া যাবে?
ফিতরা কেবল গরীব, মিসকিন এবং অভাবী মুসলিমদের দেওয়া উচিত। যারা নিজে সচ্ছল নন এবং যারা খাওয়ার, পোশাকের ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের জন্য সংগ্রাম করছেন, তাদেরকেই ফিতরা প্রদান করা উচিত। তবে, এটি তাদের মধ্যে হতে হবে যারা ফিতরা গ্রহণ করতে উপযুক্ত এবং যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ।
ফিতরা আদায়ের নিয়ম কী?
ফিতরা আদায়ের জন্য প্রথমে তা প্রদানকারী ব্যক্তি নিজে অভাবী বা গরীব কিনা তা বিবেচনা করতে হবে। তার পর, সঠিক পরিমাণের ফিতরা প্রদান করা উচিত। এটি সাধারণত রমজান মাসের শেষ দিনে অথবা ঈদের দিন সকালে দেওয়া উচিত। নির্ধারিত পরিমাণের খাদ্য বা টাকার মাধ্যমে ফিতরা প্রদান করা যায়।